বাচ্চালা মল্লি: কেন রাগ ও প্রেমে মল্লির জীবন চলে গেল?

বাচ্চালা মল্লি সিনেমায় রাগ, প্রেম ও পারিবারিক সংকটের মাঝে হারানো জীবন – জানুন পুরো কাহিনী!

জেদ, রাগ আর অনুশোচনার গল্প: মল্লির জীবনে এমন কী ঘটেছিল যা সবকিছু বদলে দিল?

বাচ্চালা মল্লি (Bachhala Malli) ২০২৪ সালের একটি তেলুগু ভাষার মুভি, যা অ্যাকশন, ড্রামা এবং রোমান্সের মিশ্রণে তৈরি। এই মুভি মানুষের জীবনের জেদ, রাগ এবং আবেগের গল্প বলে। এই কনটেন্টে আমরা মুভির সম্পূর্ণ প্লট, পরিচালক, কাস্ট, শেষ দৃশ্য, বাজেট এবং সমালোচনা সহ সব দিক বিশ্লেষণ করব। এছাড়াও, আপনাকে জানানো হবে মুভিটির অনুপ্রেরণা, বার্তা এবং কেন আপনাকে পুরো মুভিটি দেখতে হবে এসবই নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব।

বাচ্চালা মল্লি সিনেমার রাগ এবং প্রেমের দৃশ্য
বাচ্চালা মল্লি সিনেমার এক দৃশ্যে কাভেরী এবং মল্লির সম্পর্কের টানাপোড়েন

কাস্ট ডিটেইলস

“বাচ্চালা মল্লি” মুভির চরিত্রগুলো তাদের অভিনয় দক্ষতা এবং আবেগপূর্ণ উপস্থাপনার জন্য প্রশংসিত। প্রতিটি চরিত্র মুভির গল্পকে সমৃদ্ধ করেছে।

  • অল্লারি নরেশ: প্রধান চরিত্র বাচ্চালা মল্লি। গ্রামের ছেলে মল্লির জেদি, আবেগপ্রবণ এবং একরোখা স্বভাবকে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন।
  • অমৃতা আয়ার: কাভেরি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কাভেরি মুভির রোমান্টিক এবং আবেগঘন দিকটি তুলে ধরে। তিনি মল্লির জীবনে ভালোবাসা এবং আত্ম উপলব্ধির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন যা পদে পদে এই মুভিটিকে অন্যরকম একটি জায়গায় নিয়ে গেছে।
  • রোহিনী: মল্লির মায়ের চরিত্রে। তার মাতৃত্ব এবং মল্লির প্রতি ভালোবাসা মুভির আবেগকে গভীর করেছে, মায়ের চরিত্রে তার অভিনয় খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।
  • অঙ্কিত কোইয়া: মল্লির সৎ ভাই বাচ্চালা রামানা। পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং রামানার প্রতিহিংসা মুভির শেষ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে মোর নেয়।
  • রাও রমেশ এবং হরি তেজা: পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাদের চরিত্র মুভির গল্পে ভারসাম্য যোগ করেছে এবং সামাজিক পটভূমি আরও বাস্তবসম্মত করে তুলেছে।

এই শক্তিশালী কাস্ট মুভিটির প্রতিটি আবেগঘন দৃশ্যকে জীবন্ত করে তুলেছে, যা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

daraz
সবাই কিনুন সেরা দাম প্রতিদিন ক্লিক করুন এখানে

মূল কাহিনী

১৯৮৫-এর দশকের পটভূমিতে নির্মিত, মুভির কেন্দ্রে রয়েছে বাচ্চালা মল্লি নামের এক যুবক। মল্লি একজন মেধাবী ছাত্র ছিল, যার নাম একসময় জেলার সেরা ছাত্রদের তালিকায় শোভা পেত। তবে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়, যখন তার বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। এই বিয়ে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি করে এবং মল্লির জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাবার প্রতি অভিমান তাকে ক্রমশ রাগী এবং জেদি করে তোলে।

মল্লি ধীরে ধীরে ভুল পথে পা বাড়ায়। মদ্যপান এবং অস্বাভাবিক আচার-আচরণ তাকে পরিবারের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। মল্লির রাগ তাকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যায়, যেখানে সে বাবার উপস্থিতিতে সিগারেট খাওয়া এবং বেয়াদবি করতে শুরু করে। এই জেদ ও রাগের কারণে মল্লি শুধু নিজের পরিবার নয়, বরং নিজেকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।

মুভির ফ্ল্যাশব্যাকে মল্লির শৈশব এবং তার বাবার সঙ্গে মধুর সম্পর্ক তুলে ধরা হয়। তার দাদার সাথে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন, গ্রামের সামাজিক চাপে তার বাবার দ্বিতীয় বিয়ে, এবং সেই বিয়ের প্রভাব মল্লিকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেয়। বাবার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে রামানার সঙ্গে মল্লির সম্পর্কও শত্রুতার পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

কাভেরীর সঙ্গে সম্পর্ক

মল্লির পারিবারিক সংকট এবং কাভেরীর সঙ্গে সম্পর্ক

মুভিতে মল্লির জীবনের একমাত্র সুখের দিক হলো কাভেরীর সঙ্গে তার সম্পর্ক। মল্লি প্রথমে কাভেরীর প্রতি অবজ্ঞাসূচক আচরণ করলেও, ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভালোবাসা জন্ম নেয়। কাভেরী মল্লিকে তার জীবনের ভুলগুলো বুঝতে সাহায্য করার চেষ্টা করে। মল্লি তার জন্য অনেক বদলায়, কিন্তু তার জেদ তাকে কাভেরীর কাছ থেকেও দূরে সরিয়ে দেয়।

পরিবারের সংকট এবং শেষ পরিণতি

মল্লির বাবা যখন তাকে পুলিশের হাত থেকে মুক্ত করতে যান, তখন মল্লি সবার সামনে তাকে অপমান করে। এই অপমান তার বাবার হৃদয় ভেঙে দেয় এবং তিনি মানসিক কষ্টে মারা যান। বাবার মৃত্যু মল্লির জীবনকে আরও অশান্ত করে তোলে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়তে থাকে।

মল্লি তার জীবনে কাভেরীকে ফিরে পেতে চাইলেও, তাদের সম্পর্ক আর জোড়া লাগে না। কাভেরীর বিয়ের দিন মল্লি মদ্যপ অবস্থায় উপস্থিত হয় এবং তার জেদের জন্য কাভেরী আত্মহত্যা করে। এই ঘটনা মল্লিকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়।

বার্তা

“বাচ্চালা মল্লি” একটি আবেগঘন মুভি, যা রাগ, জেদ এবং সম্পর্কের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়। এটি দেখায় যে জেদ এবং রাগ কেবল জীবনের মূল্যবান সম্পর্কগুলো নষ্ট করে। মুভিটির প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা আমাদের জীবনে মূল্যবোধ এবং আত্ম উপলব্ধির গুরুত্ব শেখায়।

পরিচালক, অনুপ্রেরণা এবং মুভির মিল

মুভিটির পরিচালক সুব্বু মাঙ্গাদেবি। তিনি এর আগে “Solo Brathuke So Better” পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সুব্বু তার চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লেখার দক্ষতার জন্য পরিচিত।

অনুপ্রেরণা এবং মুভির মিল

“বাচ্চালা মল্লি” মুভিটি একটি আবেগঘন গল্পের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত, যা মানুষের রাগ, জেদ এবং পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েনকে তুলে ধরে। যদিও মুভির গল্পটি মৌলিক, তবুও এর নির্দিষ্ট কিছু দিক “Arjun Reddy” এবং “Sairat” মুভির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বাচ্চালা মল্লি সিনেমার ক্লাইম্যাক্স মুহূর্তে মল্লির মানসিক অবস্থা

“Arjun Reddy” মুভির মতো এখানে প্রধান চরিত্র মল্লির রাগ এবং আবেগপ্রবণ আচরণ গল্পের কেন্দ্রীয় অংশ। তার জীবনের ভাঙন এবং নিজের ভুলের জন্য অনুশোচনা “Arjun Reddy” চরিত্রের মতোই গভীরভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে, মল্লি এবং কাভেরীর ভালোবাসার গল্পটি জটিল এবং আবেগপূর্ণ, যা দর্শকদের অনুভূতিকে স্পর্শ করে।

অন্যদিকে, “Sairat” মুভির মতো “বাচ্চালা মল্লি”-তেও পারিবারিক এবং সামাজিক সংঘাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে ভালোবাসা এবং পরিবারকে কেন্দ্র করে সমাজের রীতিনীতি এবং অসমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কাভেরী এবং মল্লির সম্পর্ক তাদের সমাজ এবং পরিবারের বাধার মুখোমুখি হয়, যা “Sairat”-এর গল্পের সঙ্গে একটি সূক্ষ্ম মিল তৈরি করে।

তবে, “বাচ্চালা মল্লি”-এর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি একে অন্য মুভিগুলোর থেকে আলাদা করে। পরিচালক সুব্বু মাঙ্গাদেবি গল্পে নিজস্ব স্টাইল এবং নতুনত্ব যোগ করেছেন। গ্রাম্য পটভূমিতে মল্লির জীবনের উত্থান-পতন এবং তার ভুলের জন্য অনুশোচনা মুভিটিকে বাস্তবধর্মী ও হৃদয়স্পর্শী করেছে।

মোটকথা, “বাচ্চালা মল্লি” একটি শক্তিশালী গল্প, যা অনুপ্রেরণা পেয়েছে কিছু ক্লাসিক মুভি থেকে, কিন্তু তা নিজস্ব ভঙ্গিতে তুলে ধরেছে।


শেষ দৃশ্য এবং আবেগ

মুভির শেষ দৃশ্যগুলোতে মল্লিকের আবেগপ্রবণ যাত্রা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বাবার প্রতি ক্ষোভ ও রাগের জেদই তার জীবনের ভুল সিদ্ধান্তগুলোর কারণ হয়ে ওঠে। কাবেরীর আত্মহত্যা এবং তার মর্মান্তিক পরিণতির পর, মল্লিক তার সব ভুলের অনুধাবন করে। জীবনের শেষ মুহূর্তে তার মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ছোট ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমে চরিত্রটি গভীর আবেগের সঙ্গে পুনর্মিলিত হয়।

মল্লিকের স্মৃতির মন্দিরে বসে থাকা এবং সেখানে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার দৃশ্যটি দর্শকদের মনে এক গভীর প্রভাব ফেলে। এ দৃশ্যগুলো শুধু মুভিটির গল্পকে সম্পূর্ণ করে না, বরং দর্শকদের মনের গভীরে সম্পর্ক ও জীবনের আসল অর্থ নিয়ে ভাবাতে বাধ্য করে। মুভির বার্তা হলো—রাগ, জেদ এবং ক্ষোভ থেকে মুক্তি পেলে জীবন সুন্দর হতে পারে।

কাভেরীকে হারিয়ে মল্লির জীবন বদলে যাওয়ার দৃশ্য

বাজেট এবং আয়

  • ছবিটির মোট বাজেট ছিল প্রায় ৮ কোটি টাকা। তবে মুক্তির পর মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি বক্স অফিসে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়।
  • প্রথম দিনে ছবিটি ভারতের বক্স অফিসে আয় করে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। চারদিন শেষে আয় পৌঁছায় প্রায় ২.৫ কোটি টাকায়। পুরো প্রেক্ষাগৃহে চলাকালীন সময়ে ছবিটির মোট আয় হয় ৩.৬ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়ে ছবিটি অতিরিক্ত ৫ কোটি টাকা আয় করে।
  • মোট আয় হিসাব করলে ছবিটি ৮.৬ কোটি টাকা আয় করলেও এটি বাজেটের তুলনায় বিশেষ লাভ করতে পারেনি।

সমালোচনা এবং রেটিং

  • সমালোচকদের মতামত: মুভি “Bachchala Malli” মুক্তির পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া অর্জন করেছে। সমালোচকরা আল্লারি নরেশের অভিনয় এবং মুভির আবেগপ্রবণ গল্পের প্রশংসা করেছেন। তবে দুর্বল চিত্রনাট্য ও অপ্রয়োজনীয় সাবপ্লট মুভিটির সামগ্রিক অভিজ্ঞতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
  • দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মন্তব্য করেছে, “বাচ্ছালা মল্লি একটি ফর্মুলাবদ্ধ ড্রামা, তবুও এর কিছু দৃশ্য মুগ্ধ করে।” রেটিংয়ের দিক থেকে, 123তেলুগু.কম মুভিটিকে ২.৭৫/৫ এবং গ্রেটআন্ধ্রা.কম ২.২৫/৫ রেটিং দিয়েছে।
  • সাধারণভাবে, “Bachchala Malli” একটি গড় মানের মুভি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, যা বাণিজ্যিকভাবে বিশেষ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।
    • “দ্য হিন্দু”: গল্পের গভীরতার অভাবের জন্য সমালোচনা করেছে।
  • আমার রেটিং: ৯/১০।
    • আবেগঘন গল্প এবং অভিনয়ের জন্য এটি অবশ্যই দেখার মতো একটি মুভি।

কেন এই মুভি দেখবেন?

“Bachchala Malli” মুভিটি এমন একটি গল্প উপস্থাপন করে, যেখানে আবেগ, সম্পর্ক, এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। আল্লারি নরেশের অনবদ্য অভিনয় মুভিটিকে প্রাণবন্ত করেছে। মুভিটির প্রথমার্ধে একটি সাধারণ মানুষের জীবনের উত্থান-পতনের কাহিনি মনোযোগ আকর্ষণ করে।

এই মুভিতে পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন, রাগ এবং অনুশোচনার মতো জটিল অনুভূতিগুলো দেখানো হয়েছে। মুভির আবেগঘন মুহূর্তগুলো আপনাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যাবে। বিশেষ করে মল্লির চরিত্রের ভাঙা সম্পর্ক এবং পুনর্মিলনের চিত্রায়ণ দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করবে।

যারা আবেগপ্রবণ এবং বাস্তবধর্মী গল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই মুভিটি একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হতে পারে। মুভির সংলাপ এবং নাটকীয় মোড় গল্পের গভীরতা বাড়িয়েছে। যদিও কিছু সমালোচক দুর্বল চিত্রনাট্য নিয়ে কথা বলেছেন, তবুও মুভিটির কিছু দৃশ্য আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে।

আপনার যদি আবেগ, সম্পর্ক এবং জীবনের মূল্যবান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ থাকে, তবে এই মুভি আপনার সময়ের জন্য উপযুক্ত। মুভিটি দেখার পর নিজের সম্পর্ক এবং জীবনের মূল্যায়নে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই মুভিটি সম্পূর্ণ এক্সপ্লেনেশন দেখতে পারেন। YouTube Full Explanation: দেখুন এখানে

https://youtu.be/NAATnZbZMkQ

আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! এই মুভিটি কেমন লাগল? কোন দৃশ্য আপনাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে? নিচে কমেন্ট করুন এবং আমাদের জানান।


এই মুভির সকল কিছু পারচেজ করতে এখানে ক্লিক করুন আমাজন থেকে এই মুভির সকল কিছু পেয়ে যাবেন

“Bachhala Malli” একটি আবেগঘন মুভি, যা রাগ এবং জেদের কারণে জীবনে কী কী হারানো যায়, তা দেখায়। এটি শুধু একটি মুভি নয়; এটি জীবনের প্রতিচ্ছবি। মুভিটির হৃদয়স্পর্শী কাহিনী এবং শক্তিশালী অভিনয় দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। নতুন কোনো মুভি রিভিউ বা ব্যাখ্যার জন্য আমাদের সাইট, ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল চেক করতে ভুলবেন না। এই মুভির মতো নিচের মুভিটিতেও তুমি সেম ইমোশন পাবে। তোমাকে ভাবাবে, বন্ধুত্ব যে কতটা মধুর সম্পর্ক তা তোমাকে অনুভব করাবে।